ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস আবারও শাহরুখ-মাধুরী জুটিকে দেখতে চায় দর্শক! সমালোচনার জবাব দিলেন প্যারিস জ্যাকসন মারা গেলেন ব্রিটিশ তারকা সাইমন ফিশার ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল : গোবিন্দ ইফতারে যোগ দিয়ে তোপের মুখে বিজয় এবার ভারতীয় সিনেমায় দেখা যাবে হানিয়া আমিরকে ভারতের ফিল্মফেয়ারে মনোনীত হলেন বাংলাদেশি তিন তারকা ওমরাহ হজ পালন করতে মক্কায় বর্ষা উত্তোলন করা হলো তানজিন তিশার সহকারীর লাশ শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক অংশগ্রহণমূলক ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছে ঐকমত্য কমিশন আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবেন না আইনজীবীরা মধ্যরাতে আদালতে চার আসামি রিমান্ড মঞ্জুর পাচারকৃত টাকা ফেরাতে আগামী সপ্তাহে নতুন আইন -প্রেস সচিব সাবেক ৬৪ সচিবের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই করবে সরকার চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার করারোপের আগে বাজার প্রভাব বিশ্লেষণ চান ব্যবসায়ীরা

সড়কে ফেরেনি শৃঙ্খলা হোঁচট গোলাপি বাসে

  • আপলোড সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৮:৩২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০২-২০২৫ ০৫:৩৮:৩২ অপরাহ্ন
সড়কে ফেরেনি শৃঙ্খলা হোঁচট গোলাপি বাসে
* ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে এখন চাপের মুখে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ প্রকল্প * কাউন্টারভিত্তিক বাস বন্ধ ও ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন চালক ও শ্রমিকরা * পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেউই কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারি উদ্যোগ এড়িয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাস চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে চালুর চার দিনের মাথায় মালিক সমিতির সেই প্রচেষ্টা হোঁচট খেয়েছে। যদিও সাধারণ যাত্রীরা এই নতুন ব্যবস্থাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু বাসচালক ও শ্রমিকদের আপত্তির কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শৃঙ্খলা ফেরার পরিবর্তে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। গত কয়েকদিন ধরে বাসের সংকট বেড়েছে, যার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস সংকটের ফলে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে, তবে সেই সংখ্যা অনুযায়ী বাসের সংখ্যাও ছিল অপ্রতুল। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্দিষ্ট রঙের ই-টিকিটিং ও কাউন্টারভিত্তিক বাস চালু উদ্বোধন করে মালিক সমিতি। এই পদ্ধতিতে বাস শ্রমিকরা নিজের হাতে ভাড়া তুলতে পারবেন না। যাত্রীরা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠবেন। প্রতিদিনের ভাড়া কোম্পানির তত্ত্বাবধানে জমা হবে এবং সেখান থেকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বা মাসিক বেতন দেয়া হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও নগরের বিভিন্ন সড়কে নতুন করে বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। পরিবহন সংকটের ফলে অফিসগামী এবং কাজে বের হওয়া মানুষজন ভোগান্তি বেড়েছে। যাত্রীদের অনেকেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল একেবারেই কম দেখা যায়। যেটুকু বাস চলাচল করছিল, সেগুলো অধিকাংশই যাত্রীতে ঠাসা ছিল, ফলে অনেকেই বাসে উঠতে পারছিল না। এর ফলে অনেক যাত্রী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, সাধারণ অটোরিকশা কিংবা রাইড শেয়ারিং বাইক নিয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন। এসব বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে, যা যাত্রীদের জন্য আরেকটি চাপ তৈরি করেছে। গত সপ্তাহে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে চলাচল করা বাস গোলাপি রং করে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২,৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকিটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের কৃত্রিম সংকট দেখা গেছে। রাজধানীর খিলক্ষেত মোড় থেকে মহাখালী যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাস নেই। অফিস টাইমে শত শত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, যে অল্প সংখ্যক বাস আসছে সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা, ওঠা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে রাইড শেয়ারিং বাইকে অফিসে যাচ্ছি। একইভাবে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে পল্টন মোড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, বাসের রং পরিবর্তন করে টিকিট সিস্টেম হওয়ার কারণে অনেকেই বাস নামাচ্ছে না সড়কে। তাই গণপরিবহন সংকট। কাজে বের হওয়া হাজার হাজার মানুষ সড়কে এসে ভোগান্তিতে পড়েছে। যারা ইচ্ছে করে যাত্রীদের এমন ভোগান্তিতে ফেলে বাস নামায়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মানুষের এমন ভোগান্তি দেখে রিকশা, সিএনজি, রাইড শেয়ারিং বাইক সবাই অতিরিক্ত ভাড়া চাইতে শুরু করেছে। বাস সংকটের কারণ জানতে চাইলে এই রুটে চলাচলকারী ভিক্টর বাসের সহযোগী রিপন মিয়া বলেন, যেহেতু এই সড়কে চলতে হলে বাসকে গোলাপি রং হতে হবে, তাই অনেক বাস মালিকই তাদের বাস রং করতে দিয়েছে। আর এই টিকিট সিস্টেম হলে বাসচালক, হেলপাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই অনেকে বাস নামাচ্ছে না। তুরাগ বাসের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাসের গোলাপি রং, টিকিট পদ্ধতি না থাকলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। যারা বের হচ্ছে তারাই নিয়ম মেনে না চললে মামলা খাচ্ছে, তাই ভয়ে অনেকে বাস বের করছে না। এছাড়া এই পদ্ধতির কারণে বাসের ড্রাইভার, হেলপার সবচেয়ে লসে পড়বে, সে কারণে তারা ইচ্ছে করে বাস নামাচ্ছে না। রাজধানীর রামপুরা সড়কে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এরশাদ আলী বলেন, সকাল থেকেই সড়কে বাসের সংখ্যা অনেক কম। মূলত বাসের রং আর টিকিট সিস্টেমের বাধ্যবাধকতার কারণে বাস নামায়নি অনেকে। আসলে তারা শৃঙ্খলার এই পদ্ধতিতে বাস চালাতে চায় না, সে কারণে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। রাজধানীর মহাখালী এলাকায় কথা হয় অটোরিকশা চালক মাসুদ রানার সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, মহাখালী, এদিকে বাড্ডা, রামপুরা সড়কে মূলত বাসের বেশি সংকট দেখলাম। মহাখালীর একজন যাত্রী রুকাইয়া ইসলাম বলছেন, বাস শ্রমিকরা সবসময় তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। এর জন্য সড়কে শৃঙ্খলা না এলেও তাদের কিছু যায় আসে না। কারণ তারা এভাবেই অভ্যস্ত। তারা সবসময় আমাদের জিম্মি করে রাখে। ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সময় একটা সুস্থ সমাধান আসবে। কিন্তু কোনও কিছুই হচ্ছে না। অফিসগামী আরেক যাত্রী নিয়ামুল হাসান বলেন, পরিবহন সেক্টর পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের যে কষ্ট হয় এই বিবেকটা পরিবহন শ্রমিকদের নাই। তাদের জীবনে শৃঙ্খলা নাই, মানুষকেও সেই কষ্টে রাখে। রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারি উদ্যোগ এড়িয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাস চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে চালুর চার দিনের মাথায় মালিক সমিতির সেই প্রচেষ্টা হোঁচট খেয়েছে। যদিও সাধারণ যাত্রীরা এই নতুন ব্যবস্থাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু বাসচালক ও শ্রমিকদের আপত্তির কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শৃঙ্খলা ফেরার পরিবর্তে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকায় প্রবেশকারী বাসগুলোকে গোলাপি রঙে রূপান্তর করে এই কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ধাপে ২১টি কোম্পানির ১০০টি বাস দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। পরবর্তী ধাপে সংশ্লিষ্ট সব কোম্পানির সব বাসকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে মালিক সমিতি। শুধু আব্দুল্লাহপুর নয়, ঢাকাকে চারটি ভাগে বিভক্ত করে চারটি আলাদা রঙে এই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু যাদের দ্বারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে সেই গণপরিবহন চালক-শ্রমিকরা এই ব্যবস্থাপনা চাচ্ছেন না। ফলে শুরুতে রুট অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে বাসের কাউন্টার বসানো হলেও সেই কাউন্টারের সংখ্যা এখন কমে গেছে। সড়কে গোলাপি রঙের বাসের দেখাও মিলছে না তেমন একটা। কিছু দেখা গেলেও সেসব বাস কাউন্টার ছাড়াও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এছাড়া প্রত্যেক স্টেশনে কাউন্টার না থাকায় ভাড়ারও সমন্বয় করা যাচ্ছে না। এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি সায়েদাবাদ এলাকায় কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ ও ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন গণপরিবহন চালক ও শ্রমিকরা। তারা জানান, কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচলে আয় কম। আব্দুল্লাহপুর থেকে ছাড়া গোলাপি রঙের আওতায় আসা বিভিন্ন বাস কোম্পানির চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগে প্রতি ট্রিপে নির্দিষ্ট আয় ছাড়াও বাড়তি কিছু আয় জমা হতো। যা তারা নিজেরা রাখতেন। কাউন্টার হওয়ায় এখন আর তারা নিজেরা ভাড়া তোলার সুযোগ পান না। ফলে চুক্তিতে যে টাকা পান দৈনিক, তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া রাতে কোম্পানির অফিস থেকে দৈনিক মজুরি তুলতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে নতুন ব্যবস্থাপনায় বিপাকে বাস মালিকরা। একাধিক বাস মালিক বলেন, কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাত্রীদের হিসাব আমরা পাই। কিন্তু চালক আর হেলপাররা কাউন্টারের বাহিরে লোক তোলে। এছাড়া সব জায়গায় কাউন্টার না থাকায় সব এলাকার যাত্রীর হিসাব আমরা পাই না। আমাদেরও লস গুনতে হচ্ছে। বাস মালিকদের মতে, অপরিপক্ব উদ্যোগের কারণে সমস্যার সৃষ্টি। তারা বলেন, আগে থেকে এই বিষয়ে তেমন প্রস্তুতি ছিল না সমিতির। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করায় এখনও অনেক জায়গায় কাউন্টার দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চালক ও বাস মালিকরা কত আয় পাবে, কীভাবে আয় ভাগ হবে, এসব বিষয়ে এখনও খোলাখুলি আলাপ হচ্ছে না। এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, যেসব চালক-শ্রমিক এই ব্যবস্থার আপত্তি জানিয়েছে তারা চুক্তিভিত্তিক চলতে চায়। তারা চায় নিজেরা ভাড়া তুলে সেখান থেকে মালিককে দেবে। এতে তারা অধিক আয়ের আশায় সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। আমরা এসব আর হতে দেবো না। বাসগুলো রঙ করতে পাঠানোয় বাস সড়কে কিছুটা কম। বাস মালিকদের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে সব জায়গায় ঠিকভাবে গাড়ি চলাচল করবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে একটি নীতিমালা ঠিক করবো আমরা। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে এখন চাপের মুখে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ প্রকল্প। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্প ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে চালু হওয়ার কথা। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে কাজও করে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। তবে মালিক সমিতি আগে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় চালু করায় এখন তা কিভাবে চালু হবে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাস রুট রেশনালাইজেশন চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। মাঝে একটা রিভিউ মিটিং আছে, তারপর দেখছি কী হয়। তিনি বলেন, মালিক সমিতি সমন্বয় করছে না। আমরা তো আর বিদ্যমান সব বাস চালতে দেবো না। ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবো। এগুলো তো সময়সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তারা যেমন আছে ওভাবেই চালাতে চায়। কোনও সময় দেবে না। বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কারোর উদ্যোগই টেকসই নয় বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, স্থায়ী সমাধানে না গিয়ে বিষয়টি জটিলভাবে দেখছে উভয়পক্ষ। এভাবে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকার বাস ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে সরকারের উচিত নিজের আওতায় একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য প্রয়োজন অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া। এই টাকায় ঢাকার যত বাস আছে, সব কিনে নিয়ে ভালোগুলো রেখে বাকিগুলো ভেঙে ফেলা এবং কোম্পানিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ করা। ঢাকায় ২০ শতাংশ যাত্রী বহনের জন্য যদি ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি মেট্রোরেলের লাইন তৈরি করা যেতে পারে, তাহলে বাকি যাত্রীদের সুবিধার্থে ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি নয়। তিনি আরও বলেন, সরকার কোম্পানিটিকে একটি লাভবান ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে পারলে পরিবহন ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। ঢাকার মধ্যে গুলশান ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কিন্তু এ ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যথায় যে পদ্ধতিতে ডিটিসিএ এবং মালিক সমিতি যে পরিকল্পনা করছে তা এতটা সহজ হবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স